উৎসুক
প্রতিটা ভোর ঠিক কতটা আলো ভরে দ্যায় গাছের
পাতায় ?
প্রতিটা ঘুম চোখ ঠিক কতটা স্বপ্ন মুছে ফ্যালে
ভোর ছটায় ?
প্রতিটা মানুষ ঠিক কতটা আপোষ করে হিসেব খাতায় ?
বাড়ি ফেরার ভিড়ে নিজের জগতে হারিয়ে অন্তহীন
প্রতীক্ষায়।
বেড়ে চলেছে একাকি শহরের রাস্তায়
কার নামহীন ঘুপচি গলির ঝাড়বাতির অন্ধকার,
মায়াবি রাতের নিঝুম আস্তানাকে ছুঁড়ে ফেলে
কারা করছে চুক্তির কারবার ?
নির্বাক ও ঘনীভূত কিছু কুয়াশা করছে আড়াল,
খুব চেনা দুটি মানুষের মধ্যবর্তী শূন্যস্থল।
বেচে দিলেই দিতে পারে ওরা যত চিলেকোঠার কালো
আকাশ,
সাবেকি শহরে বুকে থমকে থাকা সময় এভাবেই আয়ু
বাড়াক।
প্রতিটা চেহারা ঠিক কি ভাবে লুকোয় অতিতের পাপ ?
চেনা কিছু স্বপ্ন না হয় ঘুমপাড়ানি গল্প হয়েই
থাক।
কালবৈশাখীর এক দমকা ঝড়ে উড়িয়ে দিলে চুল,
মুচকি হেঁসে ভেবেই ফ্যালা কোনটা সঠিক ভুল।
প্রতিটা ঘুড়িকে ঠিক কতটা বেঁধে রাখে হাওয়া ?
প্রতিটা দুষিত নিঃশ্বাসে ঠিক কতটা সুখ পাওয়া ?
ওদের ছেঁড়া জিন্সে হয়ত তিন পরত ময়লা ধুলোর
ভাঁজ,
একদিন দাপিয়েছিল শরীর, ঘেঁটেছিল বালিকার সাজ।
কাটা মন চিবুক, আত্মগোপন ঘন রক্তের দাগ,
শিরোনামের শীর্ষে মিশছে পক্ষপাতীত্য আজ।
শহর তুই তোর মতোই বেঁচে থাক।
শহর তুই, তুই হয়েই বেঁচে থাক।
-নিল
১৮ই এপ্রিল, ২০১৩