About Me

Niloy Paul

An engineer with a hunger for technology and passion for literature. A mixed bag consisting of all sorts of emotions, lonliness and dreams that I believe, would be full-filled by me somewhere, someday..

Friday, November 23, 2012

চিঠি আসে রোজ ( Chithi Ashe Roj )

চিঠি আসে রোজ


গিটারের শুকনো তার চেপে ধরা কিছু ভোঁতা আঙুল,
রঙ ছড়িয়ে হঠাৎ বাঁধনহীন কিছু শুকনো চুল,
গন্ধ মাখে, আজও ডাকে অন্ধ রাতের ইশারায়।
আড়ালে থাকে আমার সাথে ‘আমি’ আর পথচলতি ধূলোবালি।
ফেরবার বেশে আমি সাজি রোজ, তলিয়ে যাই অবচেতনায়,
রাস্তা বাঁক নিয়ে হারিয়ে ফেলে চুপিচুপি, অগত্যা শুরুতেই ফিরি।
তবুও তোর চিঠি আসে রোজ, শব্দে, সুরে, ইতিহাসে,
ভোরের কাঁচে শিশির গন্ধের সাথে উড়িয়ে দিয়ে
নিশ্চিন্তে পূব প্রান্তের দিকে তাকিয়ে জল ঢালি।
সদ্য পাওয়া ভালোবাসায়, Perfume-এর তীব্র নেশায়
সব স্বপ্ন অঙ্ক খাতায় পোষা থাকে অস্থিরতায়।
মাসের শেষে Payslip-এর আড়ালে চাপা থেকে যায়
তুই, তোর ডাকনাম, আর তোর বেশে নেমে আসা ইশারায়।
তোর শহর আছে কেমন তার খোঁজ রাখিনি বহুদিন,
ধর্ম বিভেদ ভুলে আজও কি ‘তুমি’-কে মানতে শিখেছে?
নাকি Indus Maya সভ্যতার মতো ধ্বংসের প্রতিরূপ দেখছে?।
প্রশ্নের জাল আজও বুনে চলেছি, অযৌক্তিক কিছু উত্তরের আশায়।
জানি পাবোনা উত্তর তোর চিঠির ভেতর, খাম বন্দি নিস্তব্ধতায়।
বয়স তাই বেড়েছে অল্প হলেও, গিটারটাও বুড়ো,
পাঁচটা বছর আলতো হাতে হঠাৎ কেউ যেন কেড়ে নিল।
তাও সেজে চলি প্রতি বিকেলে, ট্রেন ধরার সুপ্ত ইচ্ছেয়,
ছুটির ঘণ্টা বাজলে কখনও, দেখতে পাবি তোর চেনা ঠিকানায়
আবার আমায়, হৃদয় অলিন্দে – ইতি নিলয়...
-নিল

১০ই নভেম্বর, ২০১২
Photo Courtesy (Guitar) : Abhishek Mitra

Tuesday, September 11, 2012

গ্রহ ( Groho )

গ্রহ

মাইলের পর মাইল খালি
গ্রহ বুক চিরে কাতর আর্তনাদ
ধুধু প্রান্তরে পরে রয় আদিম ধূলিকণা
বালুঝড় বয়ে আনে তার নোনতা স্বাদ

গাল বেয়ে শুধু নেমে আসে প্রতিবিম্ব
একের পর এক ঠুনকো আশ্বাস
তবু চাপা থেকে যায় প্রলেপের আড়ালে
কবর নিচে জমে ভেজার বিশ্বাস

তাই গ্রহ খোঁজে প্রাণ অকুলান
লাগলে ছোঁওয়া হিমেল হাওয়ার
বন্ধ্যা মাটি তবু দ্যায় না জন্ম
অপত্যহীন শোকে ভাসিয়ে দেওয়ার

পরে থাকে মিছিমিছি কিছু ভিত্তিপ্রস্তর
ভাঙ্গা গড়ার যোগফল হয় শূন্য
গড়ার প্রয়াসে লেগে যায় মন্দা অর্থনীতি
গ্রহ মুছে স্বপ্ন খোঁজে শরীরী পদচিহ্ন

-wbj
21‡k Ryb, 2012

Sunday, August 12, 2012

চিত্রনাট্য ( Chitronatyo )

চিত্রনাট্য
পরিবর্তন হয় স্তিতির, অপরিবর্তিত থাকে কাল
স্রতের টানে মানুষ পাল্টায় জীবনী থেকে
নিয়মানুভব সময় চিঠি বয়ে আনে
নতুন চরিত্র, নতুন আবেগি সম্পর্ক
মিলিয়ে যায় পুরাতন চিত্রনাট্য
নতুনের আবির্ভাবে।
আসবেই সকাল, উঠবেই সূর্য,
পাল্টাবে ক্যালেন্ডার স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালের বুকে।
দাম্ভিক হাত আটকাবে কেন ?
গড়তে হয় ভাঙ্গার জন্য, যেতে হয় ফেরার জন্য।
সাময়িক প্রবাসী হয় মন,
ফেরার কামনা ধীরে ধীরে ধ্বংসস্তূপ।
বানাবেই মন নতুন আস্তরণ,
ঝড়ের রাত শান্ত সকাল ডাকে ইশারায়।
তুমি, আপনি, তুই, তোরা
সাময়িক কিছু সর্বনাম,
ইচ্ছেমতো গড়া ছড়া।
তাই উই ধরা বইয়ের মলাটে ধুলো জমলেও
নতুন পরত দেওয়া যায়।
আত্মকাহিনী বিক্রির প্রস্তুতি ন্যায় বার বার,
কিন্তু পাতা পালটালেই আবার সেই
গড়পড়তা অধ্যায় শুরু হয়ে যায়।

-নিল
৫ই জুলাই, ২০১২

Wednesday, June 20, 2012

রিটার্ন ফ্লাইট ( Return Flight )


রিটার্ন ফ্লাইট


শেষবার যখন তোর দোরগোড়ায় ফিরেছিলাম,
ঋতুটি ছিল শীত।
আজ আবার যাত্রাপথ অতিক্রান্ত
করে আসছি তোর দুয়ারে।
আমি সেই একই আছি,
মুদ্রাদোষ জুড়লেও
পাল্টাইনি কিছুতেই।
শুধু দীর্ঘ বর্ষণে ভারাক্লান্ত শীত
হারিয়েছে রূপ,
তাই এসেছে বর্ষা।
ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে স্বদেশ।
সবুজটা যেন শেষবারের থেকেও আরও নিবিড়।
রঙ তুলি সাজিয়ে তখন এঙ্কেছিলিস শান্ত নদীতীর।
এখন হয়ত উত্তাল, ঝাপসা এপার ওপার,
ঠিক যেমনটি তুই আমার ভেতর।
বৃষ্টির ফোঁটা কামড়েছে তোর মেঘ কালো চুলে।
ধুয়ে দিয়েছে আদর,
হয়ত আমার আদর্শের ভুলে।
তাই ফিরব আমি, খুলিস দুয়ার।
ইচ্ছে যত দেব আমার।
মেঘলা আকাশ লাগে মলীন,
অথবা দূরদৃষ্টি আজও ক্ষীণ।
জানলার কাঁচে হঠ্যাৎ বাষ্প ভীষণ,
হয়ত শিলাবৃষ্টি নামবে যখন তখন।
ঠাণ্ডা হাওয়ায় জানি তোর বুক হিম।
আমার কিন্তু ঊর্ধ্বগামী তাপমাত্রা।
তাই আর বেশী নয়,
জীবাশ্ম হওয়ার আগে
আমি আসছি আবার ফিরে,
তোর অবাধ বিচারিত দুয়ারে

-নিল
১৮ই জুন, ২০১২
Photo courtesy : Abhishek Mitra

Sunday, June 10, 2012

Blossom


Blossom

My lines brim with joy
and the happiness of rebirth.
Let the Krishnachura tree dance
gently to my tune,
while embracing the earthly smell
of monsoon.
Still searching for the mysteries,
the mysteries of green engulfed
through the eyes of amazement.
None of them followed
the footsteps of rhythm.
Why?.
Writing the never heard before
theories of blossom,
I found sources of endless
ripened happiness.
Stripped top to bottom,
engrossed myself
looking at the far falling stars,
beneath the sky.
Jumbled up tune of eternity.
Trapped temptations.
The window at my bed side
blocked the passage of free thoughts.
Yet I brought pocketful of juvenileness
to patch up with the monotonous
rain drops that keep falling
in between the gaps of my breathe.
I keep smiling through my chapped lips
to see you victorious.
Wishes are special for you,
might be my lines too.
Your footsteps are my blanket
to warm my little world
with tiny emotions.
I stare at the evergreen presence
of my old Krishnachura.
Wrapped within my words of joy,
postulating every space of it.
Your name is imbibed.
Stony it is!.
May worn out but never abolish.
I polish it with my truest sense,
as it shines but never fades…

* Krishnachura(in Bengali) is better known as the ‘Gulmohar Tree’ in India. A tree that blossoms flamboyantly with brightly coloured flowers and aesthetically attracts poets all across India.

-Nil
9th June, 2012

Wednesday, June 6, 2012

অবশেষে বৃষ্টি ( Obosheshe Bristi )

অবশেষে বৃষ্টি


আজ আবার শহরটা ভিজলো,
ভিজলো রাস্তাঘাট, ভিজলো কিছু প্রাণ,
থামল দৈনিক আদান-প্রদান।
এই শহরের বুক চিড়ে মনুষ্য দল,
আবার খুঁজল এক টুকরো আশ্রয়।
কেউ পেল, কেউ পেলনা।
কারোর সুখেই জুড়ল দীর্ঘনিঃশ্বাস,
কারোর চোখের জল আবারো দিলো আশ্বাস
গৃহবাসীর ক্ষণিকের অতিথি হলো গৃহহীন,
মাখলো কিছুটা মেঘলা সময়।
ধারাবাহিক একঘেয়ে গল্পগুলো
হাত ছাড়িয়ে পালাতেই,
কে যেন কেড়ে নিলো তাদের দৌড়।
কেউ ছুঁলও কারোর ভেজা হাত।
কারোর ভাসল বাড়ি ঘর,
জমানো বাশি ভাত
Balcony-র সেই প্রেমিক গিটার ধরলো,
বাঁধলও নতুন সুর।
ভাঙ্গা রেডিও-র ভাঙ্গা গান
জুড়ল মন,
পাড়ি দিলো সুদূর...

-নিল
৬ই জুন, ২০১২

Photo courtesy : Aritra Pal

Saturday, June 2, 2012

Homesick

Homesick

ক্যালেন্ডার-এ তারিখটা উজ্জ্বল,
তবু বার বার হাত-গুনি দিন।
আলতো হাতে ছুঁয়ে ফেলি মোবাইল-এর রঙিন স্ক্রীন।
অস্থিরতা ঘিরে ধরে বার বার,
আর তো মাত্র কিছুদিন।
গন্তব্য, ফিরে যাওয়া নিজের দেশে,
চেনা পরিবেশে।
তাই ইচ্ছে হলেই এক নিমেষেই
এঁকে ফেলি শহরটাকে।
স্বপ্নের পারদটাকে
আরেকটু চরিয়ে ফেলে
দেখি কি কাণ্ডটাইনা হয়,
চেনা বাড়ি ঘরদোর উঠে
চলে আসে বাস্তবে।
নরম আঙুল ছুঁলেই সব উধাও।
মন আনমনা হয়,
কিন্তু দিনগোনার আনন্দ আমাকে
ঠ্যালা দ্যায় আবার,
আরেকটু এগোতে বলে।
ঘরের কোনে সেই ধূলো
মাখা নীল ব্যাগটা
হঠাৎ খিলখিল করে হেঁসে ওঠে।
ওরও সময় হয়ে এলো সাজবার।
তাই দুজনেই তাল মিলিয়ে নাচি উদ্দাম নৃত্য,
আমরা দুজনেই যে খুব HOMESICK...

-নিল
২রা জুন, ২০১২

Wednesday, May 30, 2012

ইচ্ছে ( Ichchhe )

ইচ্ছে
আমার কলম, বই, খাতা
সব উড়ে বেড়ায়
লিখতে লিখতে কখন ঘুমিয়ে পরি,
আবার খানিক বাদেই জেগে উঠি।
দেখি দুনিয়া তোলপাড়,
মেঝের উপর ছড়িয়ে আমার দুশ্চিন্তা।
দূরে উপুড় হয়ে পরে আছে
যত প্রাচীন ইচ্ছে।
ধড়তে গেলেই ফসকে যায়।
দৌড়ে বেড়ায় শহর জুড়ে।
কিছু কথা বাষ্প হয়ে যায়,
কিছু ট্রামে চাপা পরে,
সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে
উঠে আসে শোকসংবাদ।
ভেঙ্গে পরি আমি টুকরো টুকরো হয়ে,
ছড়িয়ে যাই সারা ঘরময়,
তবু জোড়া লাগেনা কথা,
ফিরে আসেনা ভাবনা,
খুঁজে পাইনা বিষয়,
নিখোঁজ হয়ে যায় টেবিল থেকে।
স্তরে স্তরে জমে থাকে কিছু বাক্যস্তবক,
মিল পাইনা।
শুধু কুঁকড়ে যায় অলিখিত কাগজ
সদ্য বিধবার বেশে।
আমি এভাবেই রোজ ইচ্ছে হারাই...
-নিল
৩০শে মে, ২০১২

Friday, April 27, 2012

ঘাস বিছানা যার ( Ghas Bichhana Jaar )


ঘাস বিছানা যার


হঠ্যাৎ এক ভোর খুঁজতে গিয়ে দেখি
পড়ে আছে একটি শিউলি ফুল,
জড়ানো ঘাসের ঘুম চাদরে।
মনে হয় যেন শিশির-স্নান শেষে
সদ্য সে উঠেছে,
আবার পড়ে গেছে।
ঠিক যেমন একটি শিশু চোখ ভর্তি
ঘুম নিয়ে যেতে চায়না স্কুল।
শিউলি সে জানেই যে কুড়িয়ে নেবে কেউ,
যাবে নিয়ে অচীন ঘরে,
তাই আরেকটু ঘুমিয়ে নেওয়া,
আরেকটু ঘাসে জড়িয়ে ধরা।
ভিজে মাটির গন্ধ সে গায়ে মাখে,
নিজের শারীরিক গন্ধে যে একঘেয়েমি ভীষণ।
তার জীবনদায়ী সময় সে বাঁচাতে চায় রোজ,
তবুও জানে সে স্বাভাবিক নিয়মেই
ঘাস বিছানা থেকে হতে হবে নিখোঁজ।
ঝড়ে পরার আগেও তাই শেষ চেষ্টা আরেকবার,
যদি পাওয়া যায় অল্প সুদে স্বল্প ঋণ,
সময় ধারে ক্ষণিক বাঁচবার...
উপায় কই ?
সকাল জানেই নেই নেই নেই তার ঘুমের আশা।
পাখি ছেড়ে গেছে গাছ,
কাকভোরে তাকেও ছাড়তে হবে তার সুখের বাসা।
ন্যয় গভীর দীর্ঘশ্বাস,
কারণ বাধ্যতামূলক ভাবে মানতে হবেই নিয়মের পরিহাস...



-নিল
১৪ই জানুয়ারী, ২০১১