অনেক রাতের চিঠি
দ্রষ্টব্য – এটা পড়ে যারা শব্দ, লাইনগুলোকে
একটা কবিতার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বলে মনে করবেন না, তাদের রুচির আমি দোষ দেবনা। আপনি না
ভাবতেই পারেন, তাতে আমার ব্যবহার করা কোন শব্দই ভিন্ন অর্থ নিয়ে জন্মাবেনা। আমার
কিছুই যায় আসেনা তাতে। আমার শুধু আসে যায় ‘তুই’এর ঋতু-ধার্মিক চারিত্রিক পরিবর্তন
নিয়ে। এটা আমার ‘তুই’কে লেখা খোলা চিঠি। আপনি সেই ‘তুই’-এর রূপ ধারণ করতেই পারেন,
তবে প্রথমে ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে নামতে হবে।।
রোজ রাতে আমি দুটো করে কবিতা লিখি মনে,
একটা আমার নামে, আরেকটা তোর দেওয়া ছদ্মনামে,
তার বদলে পৃথিবী দেয় এক বিশ্ব ঘুম।
না ঘুমের ওষুধে আমার আসক্তি নেই,
আছে তোর আদিম ঘামের গন্ধে, শ্বাসনালীর গভীরে।
বহু চেষ্টাতেও আমার ঘুমের গতিবেগের সাথে
মেলাতে পারতাম না তোর প্রাগৈতিহাসিক চরিত্র বদল,
ভেঙেছিল কলম তাই, অস্তিত্বের অভাবে।
তবে আর পারলাম না, খুব নির্জন এই অবসর বিঁধছিল
আমায়,
আজ অন্ধকারের গলা টিপে ধরলাম।
রানওয়েতে ধেয়ে যাওয়া একটা বিমানের গতিতে
উৎসর্গ করলাম এই শব্দগুলো।
এটা আমার দ্বিতীয় রিটার্ন ফ্লাইট!
আমি ফিরছি, আবারও ফিরছি, শব্দের গতিতে,
শেষবারটা ছিল ঘন বর্ষা, এখন যদিও দগ্ধ
তাপপ্রবাহ।
একটা মাত্র রিকুয়েস্ট, মাত্র একটা, রাখবি?
ঘুমিয়ে পরিসনা প্লিজ!
আমি অনেকদিন ঘুমাইনি, শুধুই ঘুমানোর ভান করেছি।।
-৩১শে মার্চ, ২০১৪, রাত তিনটে বেজে পাঁচ
No comments:
Post a Comment