অন্তরদ্বন্দ্বের রাজসাক্ষীরা
অনেকটা ঘুম নামার আগেই
অন্ধকার ডেকে নিল বজ্রবৃষ্টি।
জল জমল বাইরে, আর ভেতরে অস্থিরতা
যারা বালিশে শুতে চাওয়া সমস্ত কামনার পিছু নিলনা।
যা পরে রইল তা হলো অন্তঃসত্ত্বা আমি,
একটি অতৃপ্ত বিছানা,
আর কিছু অবাধ্য আলো।
বুঝলাম গাঢ় মেঘও
স্পষ্ট জ্বলতে পারে,
মুহূর্ত হয়ে।
আমার বেনামি সেই সব চরিত্রের
কথা বলতে ইচ্ছে হল
এক, যাদের পাশে
দাঁড়াইনি,
দুই, যাদের কথা শুনিনি,
আর তিন, যাদের বলতে
দিইনি।
এরা ভিন্ন রূপে এক,
আর যৌথ ভাবে
বহুমাত্রিক।
সহমর্মিতার দায়ে
সাজাপ্রাপ্ত,
তাই ঘাত ও প্রতিঘাতের সূক্ষ্ম
তফাতেই বাঁচে।
যে গ্রীষ্মের দাবদাহ
এসে ভিড়েছিল
তাদের অনন্তকালের বিরহ
বেদনায়,
তারা অন্তরালে খুঁজে
যায় প্রাণ।
বিস্তর ভাবে অনেক কিছু
বলতে চায়।
তবে বলতে দেওয়া হোক!
“না না তা হয় না”,
আমার অন্তরদ্বন্দ্বের রাজসাক্ষীরা
আবারও গর্জে ওঠে।
“ওদের দাবিয়ে রাখো,
ওদের পিষে দাও”।
তবে কি আমি...
নিজের পাশে দাঁড়াইনি ?
নিজের কথা শুনিনি ?
নিজেকে বলতে দিইনি ?
বৃষ্টিটা বোধয় একটু থামল, সময়টা নয়
-২৮শে মে, ২০১৫