About Me

Niloy Paul

An engineer with a hunger for technology and passion for literature. A mixed bag consisting of all sorts of emotions, lonliness and dreams that I believe, would be full-filled by me somewhere, someday..

Saturday, July 11, 2020

এখানেই বিশ্ব ( Ekhanei Bishwa )

এখানেই বিশ্ব

দিন গণ্ডি পেরিয়ে আবহাওয়া পাল্টে যায়,
তবু যতদূরে যাই এই রোগ আমায় তাড়া করে বেড়ায়।
যার চিকিৎসার বাইরে বিশ্বাস নিরন্তর।
আর অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা বহন করি,
যখন অসুখ নামতার মতো শোনায়।
পিঠের পেছনেই পিঠ দায়বদ্ধতার,
আকাশ যদি এক মহাদেশ হয়
আমি তার নাগরিক মন।
কূলে ফিরতে পারি আবার নাও পারি,
যথেষ্ট নাও হতে পারে সহানুভূতি।
পারি শুধু ভেসে থাকতে
যদি পাওয়া যায় মহাকাশের কালো,
ফিরে পাওয়ার,
ফিরে চাওয়ার,
ফিকে হওয়ার।
আমার অসুস্থ বোধ আমায় সারিয়ে তুলছে
অসুস্থ হতে আবার।
যে বিশ্বে গন্ধ নেই, ইচ্ছে নেই,
বিপ্লব নেই,
আছে এক দিশাহীন মহাজাগতিক মহামারী।

-
৩রা জুলাই, ২০২০

Tuesday, January 23, 2018

চুরি ( Churi )

চুরি

চুরি হয়ে যাচ্ছে এক পাশের খালি জমি
যাতে বেড়ে উঠত মন ও ঠুনকো পরিচয়।
চুরি হয়ে যাচ্ছে আমার ও তোমার খালি বাড়ি
যাতে থাকার মতো কেউ নেই।
আর চুরি হয়ে যাচ্ছে দূরের স্পষ্ট দিগন্ত ইশারায়,
মাটি ও আকাশ তফাৎ করার মতো গাঢ় রঙ পেন্সিল নেই এখন।
এগুলো বায়স্কোপের মতো কাল্পনিক ভাবতে পারো,
যদি তোমার হাতে জবাই হওয়া শেষ ইচ্ছেটা
তার নিহন্তা কে খুঁজে না বেরায়।
তবে তাই বলে ধোঁয়াশা রেখো না মনে।
হয় বাস্তব কে বেছে নাও শ্রেফ ভুলে থাকবার নেশায়,
নয় কবিতা বেছে নাও।
কারন শোনা যায় কবিরা খুব সহজেই
জমি, বাড়ি, মন ও দিগন্ত বানিয়ে ফেলতে সক্ষম,
হারিয়ে ফেলার তাগিদে।।


-২৩শে জানুয়ারী, ২০১৮

মেঘ পাখি ( Megh Pakhi )

মেঘ পাখি

মেঘ পাখিরা ডাকছে ওই প্রবাসী আকাশে যেন সেই
আমার ছোটবেলার দেওয়ালে আঁকা আবোল তাবোল স্বপ্নগুলো
ঘুরে বেড়াতো দু কামরার ফ্ল্যাট জুড়ে নির্বাক রাতে।
আমার উড়তে ভয় লাগত সামনে বড় রাস্তা বলে,
ট্রাম লাইনের তারে যদি ছিঁড়ে যায় নীল জামা।
বা ধরো, উড়তে উড়তে যদি হারিয়ে ফেলি শহরের দিগন্ত?।
মা ভীষণ বকবে বাড়ি ফেরার রাস্তা ভুলে গেলে
তারপর কিছুটা নিঃশ্বাসের আড়ালেই
খুঁড়তে শিখেছি,
ভালবাসতে শিখেছি ,
মিশতে শিখেছি মহাবিশ্বের তীক্ষ্ণতায়,
যতদূর আমাকে ধাওয়া করে যাওয়া এই সূর্যয়ের আলো যায়
এক দেশ থেকে অন্য দেশে
এই আকাশ থেকে সীমানা দেখা যায়না, খোঁজা যায়না ঘর
শুধু পরিযায়ী মেঘের মতো সাদা মনের কিছু মানুষের হাত খুঁজে পাই
যারা ভিনদেশের সবুজ ঘাসে বন্ধু বলে ডাকে।
আমি তাদের হয়েই উড়ছি আজ
মার বকুনিতে,
বাবার মতাদর্শে,
আর বন্ধুর বিশ্বাসে,
যে ভাবে হারালাম ওলি, গলি, বড় রাস্তার শামিয়ানা
উন্মুক্ততার শ্রেষ্ঠ প্রাণ হয়ে।।


-৬ই অগাস্ট, ২০১৭

Wednesday, July 12, 2017

প্রিয় শহর ( Priyo Shawhor )

প্রিয় শহর

স্বপ্নের শহর পাহারায় আছে,
ডাকনামে যদি কেউ কান পাতে।
গৃহশূন্য বাতি স্তম্ভগুলো এক পশলা বৃষ্টির মত
প্রতীকী শোক পালন করে প্রত্যেক রাতে।
ইচ্ছের স্তূপ বোঝাই করছে ঘরবাড়ি,
কান্না মেকী?, 
নাকি মেকী তার রূপ?
সিলিং ফ্যানে চেয়ে থাকা সুপ্ত চোখগুলোর
রাত কাটে?, 
নাকি নিষ্ফল অন্তর যুদ্ধে চুপ?

দূরে পরে আছে কিছু প্রিয় নাম,
তাই তোমার বুকে আমার ব্যাথা পুঁতে দেবই।
আমার একাধিক ঠিকানার পিতৃপরিচয়
পারলে বাস্তুহারাদের শহুরে ভ্রূণে রেখে যাব।

ধরো আবার যদি পিছুটানের মত পুষে ফেল,
আবদারের হাতে ঠাণ্ডা বাস টিকিটটা কাটো।
প্রাণের শহরের চেয়ে দামি থাকবে ভালোলাগা,
মানুষ পাল্টায় শহর আর স্মৃতি ছোটোখাটো।

-১লা জুলাই, ২০১৭

Sunday, December 11, 2016

তরবারি ( Tawrobari )

তরবারি

সন্ধ্যে বলে ডাক দিয়েছি
পুকুর ঘাটের কাছে,
প্রতিধ্বনি কণ্ঠে তোমার
শীত নেমে আসে।
আমি তখন আড়াল হলেও
শালের ভাঁজেই খাম,
অন্ধ যত বন্ধ চিঠির
লেখা হয়নি নাম।

এ যুদ্ধে সৈন্য মনের
নীরব খেলার মাঝে,
কোথাও যেন প্রস্তুতি নিই,
কোথাও কলম সাজে।
তবুও যদি গোধূলি রুপের
নামটি দিতে চাও,
একটি শিমূল পাতার ভাঁজে
আমায় খুঁজে নাও।

মুঠোর খামে গল্প নামে, তোমার মেঘলা শাড়ি,
অন্তমিলের এই কবিতাই হোক না তরবারি।

-১০ই ডিসেম্বর, ২০১৬

Wednesday, June 29, 2016

মুক্তবোধের আঙিনায় ( Muktobodher Aanginay )

মুক্তবোধের আঙিনায়

তোমার অমরত্ব্যে আমার হাত নেই,
হাত আছে যা কিছু বিপন্নতায়,
আবেগে মাপা যায়, বর্গফুটে নয়।
তেমনই কিছু ঋণের গন্ধ ফিরে আসে,
গোলাপে মুছে গেলেও বইয়ের পাতায় থেকে যায়।
রেখে যায় ছাপ কবি মনে,
তোমার আমার নির্বাক অন্তমিলে।
বদলানো ঋতুর সাথে মেলাবো আমি,
সময় পরিণত নয়।
ফিরে আসব হাত ঘড়ির কাঁটায়
যা ক্লান্ত হয়েও থামে না।
আমার ক্লান্তিতে তুমি থেকো,
থেকো মুক্তবোধের আবরণ হয়ে...

(Our tranquility dwell in pieces,
Of candour and wisdom,
Conferred by your presence.
Sunshine brews the joy in herb,
Like you in us,
Amidst the glorious world
Of priests and preys.
Be there, O Mistress!
When the worldly distress
Inhibits the deepest thought of love
And your flower fails to blossom!)

 -১৬ই জুন, ২০১৬

Sunday, May 8, 2016

এ পরবাসে ( Ey Pawrobasey )

পরবাসে

এ পরবাসে
হিমেল বাতাসে,
ক্ষুধার্ত মনে
মলিন সূখ।
দেখিনি কোথাও
গাংচিল উরে,
ক্লান্ত বিকেলে
মায়ের মূখ।

দূর হতে শুধু
শোনা যায় যেন,
তীব্রতা পায়
দেশের গান।
এই আকাশেই
ফিরে যায় পাখি,
ফিরিয়ে আনে
মাটির টান।

-৮ই মে, ২০১৬


Sunday, January 10, 2016

Indigo

Indigo

Window melts into the meadow,
As the dawn and dusk plays.
My indigo sky perpetuates the
Nomadic, biased and egocentric wills
To pacify in finding life that lies all beneath,
A galaxy of war,
Happiness,
And You!.

-14th November, 2015

Whistles

Whistles

Tip of the pen, 
Gloomy again.
See the sparrows fly.
Distant train,
Whistles again,
As I scribble an alibi..

- 7th July, 2015

Monday, June 1, 2015

অন্তরদ্বন্দ্বের রাজসাক্ষীরা ( Ontordwondwer Rajsakkhira )

অন্তরদ্বন্দ্বের রাজসাক্ষীরা

অনেকটা ঘুম নামার আগেই
অন্ধকার ডেকে নিল বজ্রবৃষ্টি।
জল জমল বাইরে, আর ভেতরে অস্থিরতা
যারা বালিশে শুতে চাওয়া সমস্ত কামনার পিছু নিলনা।
যা পরে রইল তা হলো অন্তঃসত্ত্বা আমি,
একটি অতৃপ্ত বিছানা,
আর কিছু অবাধ্য আলো।
বুঝলাম গাঢ় মেঘও স্পষ্ট জ্বলতে পারে,
মুহূর্ত হয়ে।

আমার বেনামি সেই সব চরিত্রের কথা বলতে ইচ্ছে হল
এক, যাদের পাশে দাঁড়াইনি,
দুই, যাদের কথা শুনিনি,
আর তিন, যাদের বলতে দিইনি।
এরা ভিন্ন রূপে এক,
আর যৌথ ভাবে বহুমাত্রিক।
সহমর্মিতার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত,
তাই ঘাত ও প্রতিঘাতের সূক্ষ্ম তফাতেই বাঁচে।

যে গ্রীষ্মের দাবদাহ এসে ভিড়েছিল
তাদের অনন্তকালের বিরহ বেদনায়,
তারা অন্তরালে খুঁজে যায় প্রাণ।
বিস্তর ভাবে অনেক কিছু বলতে চায়।
তবে বলতে দেওয়া হোক!
“না না তা হয় না”,
আমার অন্তরদ্বন্দ্বের রাজসাক্ষীরা
আবারও গর্জে ওঠে।
“ওদের দাবিয়ে রাখো,
ওদের পিষে দাও”।

তবে কি আমি...
নিজের পাশে দাঁড়াইনি ?
নিজের কথা শুনিনি ?
নিজেকে বলতে দিইনি ?

বৃষ্টিটা বোধয় একটু থামল, সময়টা নয়

-২৮শে মে, ২০১৫